""""" তৃণলতার জীবনাবসান """
এইখানে,
বাংলার শ্বাশত জমিনের বুকে
বেঁচে থাকা তৃণভূমির কথা বলছি।
যেখানে কচি তুলতুলে লতার সাথে বিয়ে হয়
বিশাল বট বৃক্ষের ;
যাতে সে পায় একটি শক্ত আশ্রয়স্থল।
কিন্তু বৃক্ষের খসখসে বুকে চলে কোমল লতাটির হাঁসফাঁস -
প্রকান্ড বৃক্ষের মস্তকের উপর যখন উড়ে যায় এক খন্ড কালো মেঘ,
তখন লতাটি হেসে উচ্ছ্বসিত হয় বর্ষার প্রথম বৃষ্টিতে ভিজবে বলে।
আর বৃক্ষ তাকে শাসিয়ে দেয়
তার ছড়ানো ডালে নিজেকে গুজিয়ে থাকতে।
বৃক্ষ মরু হৃদয়ে চাইতে আসে লতার কাছে কামনা বাসনা,
অথচ লতাটির মনে পড়ে -
এখনো দেওয়া হয়নি তার পুতুল মেয়ের বিয়ে
যোগ্য পাত্র পাওয়া হয়নি বলে।
এইখানে,
তৃণটি পায় না ভালবাসা,
পারে না নিজের ইচ্ছেমত দুদন্ড দাড়িয়ে
দক্ষিণা হাওয়ার সাথে বলতে অব্যক্ত কথন।
যখনই অসহায় গোপন মনে আকাঙ্ক্ষা জাগে
অরন্যের হিমেল হাওয়ায় নিজেকে বিলিয়ে
উড়ে বেড়াবে আকাশের যেখানে শেষ ঠিকানা ;
কিন্তু তার আগেই নিজের গহীনে আবিস্কার
করে তারই এক নতুন অস্তিত্বকে।
এভাবেই সে যখন বড় হয়,
বুঝতে পারে বৃক্ষের বুকে থাকা প্রেম ভালবাসা,
তখন বৃক্ষটি বয়সের ভারে হয়ে পড়ে নুজ্জ্ব ;
লতাটির বুকে কি দূর্দমনীয় কামনা বাসনা
তা বুঝতে সে হয়ে পড়ে অপারগ।
আর এভাবেই বিলীন হয়ে পড়ে লতার বুকে
জমে থাকা সহস্র রাত্রির স্বপ্নের মোড়ানো রঙিন আশা।
18/8/14
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন