দুরন্ত শৈশবে উড়েছি প্রজাপতির মতো,
বাড়ন্ত কৈশোরে হেসেছি ঝর্নার মতো।
দীপক যৌবনে বেড়িয়েছি পাখির মতো,
পড়ন্ত যৌবনে গুটিয়েছি শামুকের মতো।
দীপ্তিময় কৈশোরে সাজিয়েছিলাম মন
দীপিত যৌবনে পেয়েছিলাম তব বন্ধন।
উচ্ছ্বাসে রঙিন ছিলো মোর জীবন,
উড়ন্ত মেঘের মতো বেড়িয়েছি তখন।
দিগন্ত নীলিমা দিতো মোরে হাতছানি
প্রশস্ত অন্তরীক্ষ নিতো মোরে টানি।
অফুরন্ত অবসর কাটতো ধারে তরঙ্গিনী,
জোনাকির আলো আধারে সমাপ্ত রজনী।
নিভৃতে এসে তুমি করলে মোরে জয়
নিশ্চিন্তে ভেবে দিলাম তোমায় মোর হৃদয়।
নিমজ্জন তব প্রেমে ছিলো আশংকার ভয়,
নির্ভীক আবিষ্ট কন্ঠে তুমি দিলে নির্ভয়।
অবশেষে তটিনীতে ছুটলো প্রেম তরী
অমায়িক ভালবাসায় গড়লাম মোরা বাড়ি।
ভালোই চলছিলো মোদের প্রেমের গাড়ি,
হঠাৎই তোমার মুখে শুনি আমি আনাড়ি।
আমার আকাশ জুড়ে মেঘের ঘনঘটা,
বর্ষার বৃষ্টি ধারায় ছোটে অস্রু ফোটা।
গতানুশোচনায় ভাবি নিজেরে পাপিষ্ঠা
তোমার অন্তর আদায়ে থাকে প্রচেষ্টা।
এখন দিবস কাটে স্মৃতি বুকে নিয়ে,
রতিক্রিয়ায় রজনী কাটে মরা খাটে শুয়ে।
আজ জিজ্ঞাসু চোখে থাকি আমি চেয়ে,
কেন এই জীবন নিপাতন হলো ক্ষয়ে।
তুমি কখনো ভালবাসনি অন্তরে আমায়
তোমার ভালবাসা ছিলো কামনার ছায়ায়।
তুমি কখনো বুঝোনি অন্তর কি চায়,
তুমি মেতেছিলে আমাকে জয়ের ইচ্ছায়।
17/4/14
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন