সোমবার, ১৮ মে, ২০২০

মৃত্যুর প্রতিচ্ছবি


এই শহরে মৃত্যুর দূতেরা হাওয়ার সাথে ভেসে বেড়ায়।
তাদের উচ্ছৃঙ্খল পদধ্বনি শুনতে পাই
পৃথিবীর পথে প্রান্তরে হাজারো মানুষের লোকারন্যের ভীড়ে।
নিঃশঙ্ক চিত্তে তারা মিশে যায় মানুষের
শরীরে প্রতিটি নিঃশ্বাসের সাথে বিষাক্ত বায়ুর আবরণে।
আমি দেখেছি মৃত্যুর তীক্ষ্ণ চাহনি সেই যুবকের মাঝে -
যে শহরের সন্ধ্যার নিয়ন আলোতে সুখ খুঁজে বেড়ায়
নিষিদ্ধ গলির মরিচিকার কামনার ভীড়ে।
মৃত্যু তাচ্ছিল্যের অট্টহাসিতে এগিয়ে যায় বীরদর্পে
সমাজের তরুণ প্রজন্মের প্রিয় 'বাবার '
একটান অগ্নির ধোঁয়ার মরণ নিঃশ্বাসের গহীনে।
মৃত্যু, সে ছুটে চলে নেশাগ্রস্ত ট্রাকের চাকার তলে,
খুঁজে বেড়ায় নিষ্পাপ সন্তানের প্রিয় মুখ ;
কেড়ে নিতে তাকে বিকৃত শরীরে ফিরিয়ে দিতে।
আমি দেখি মৃত্যুর গ্রহন লাগা ছায়া
কর্মরত অবলাদের ইমারতের সুক্ষ্ম ফাটলের মাঝে।
সুদীর্ঘ তৃষ্ণার্ত মৃত্যু তার পিপাসা মিটায়
অতল জলের ' পরে অনিশ্চিত ভাগ্যের পানে
ধেয়ে যাওয়া অসহায় মানুষকে গিলে।
অহর্নিশ মৃত্যু টোঁপ ফেলে কাঁটাতারের বিভাজন রেখার 'পরে,
চরিত করে তার বাসনা বুলেটের বিশ্বস্ত মরণ চুমুকে।
মৃত্যু দাঁড়িয়ে থাকে এই শহরের ফুটওভারব্রিজ আগলিয়ে,
চেয়ে থাকে নিরন্তর ভাগ্যহীন মানুষের পানে সহসাই ঝাপিয়ে পড়তে।
এই শহরে হেটে বেড়ায় নিশ্চিন্তে আপনমনে
প্রতিনিয়ত পালন করে বিধাতার আদেশ চাহিদার সাথে।

20/10/14

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন