রবিবার, ১৭ মে, ২০২০

জ্বরাতিসার ভূবনে পথচলা


""জ্বরাতিসার ভূবনে পথচলা ""

      সাখাওয়াৎ আলম চৌধুরী

নিষ্ঠুর নরলোকের প্রতিটি বাঁকে
অহর্নিশ সাক্ষাৎ নির্দয়তার সাথে ;
ব্যস্ততার মায়াহীন পান্থশালার প্রতিটি মুহূর্ত,
যেন এক একটি শরাবের পেয়ালার চুমুক।
সুখ যেন মরিচিকার পিছে গন্তব্যহীন সাগরে অবগাহন ;
আর কষ্ট! সেতো দেবতার লক্ষী হয়ে
নিরবিচ্ছিন্ন শাঁখার ছায়ায় অনুসরণ।
জরাজীর্ণ সম্পর্ক গুলোতে প্রতিনিয়ত ঘটে
রক্তক্ষরণ নিরব ঘাতকের মতো।
অতি উচ্চাশার হাতছানির হতাশার জালে
আটকা পড়ে মানুষ মকড়শার শিকারের মতো।
গলায় রুদ্ধ হওয়া খাদ্যের মতো হাঁসফাঁস
করে উঠে অন্তঃস্থল ;
বিদীর্ণ পৃথিবীর কন্টকিত পথে
নিজেকে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কীটের ন্যায় মনে হয়।
একদা উজ্জ্বল অন্তঃপুর হয়ে পড়ে
বদ্ধ আঁধারের নিরব কবর ;
নিরন্তর কষ্টের স্রোতে গড়িয়ে পড়ে শান্ত কান্নার ফোয়ারা।
তুচ্ছ জীবনকে বয়ে চলা হয়ে পড়ে অর্থহীন ;
প্রচ্ছন্ন আলোকে বাড়ে ভীতি বারবার হারাবার যন্ত্রণায়।
তবুও মর্ত্যলোকে বয়ে যায়  আমাদের
গন্তরহীন নিরাশার অভিশপ্ত জীবন ;
হাজারো মর্মান্তিকতায় মরিচিকার অবনী থেমে থাকে না,
চলতে থাকে সে নিজের অসাড় ভঙ্গিতে।
তার কোন দায় নেই তোমার আমার
অব্যক্ত  কষ্টের কারণ অনুসন্ধানের ;
তাই কি লাভ হবে ঐ লোনা জল ঝরিয়ে,
যেখানে আপন নয়নও তোমায় বুঝে না।
তারচেয়ে ভোরের সূর্যের আলোতে তাকাও
দিগন্তের ঐ নীলিমার পানে,
দেখবে হাজারো পাখি উড়ে যায়
অজানার উদ্দেশ্যে বিরামহীন নির্মল ক্লান্তিহীন ভঙ্গিতে,
নেই কোন পিছুটান সম্মুখে চলার গন্তব্যে।
ঠিক সেইভাবে চলতে হবে
এই জ্বরাতিসার ভূবনের কন্টক বুকে।

26/8/14

এই লেখাটি লেখা হয় রুবির একান্ত কিছু কষ্টের স্বরনে। যখন কষ্টের বাঁধভাঙ্গা স্রোতে দুকূল ছাপিয়ে বেড়িয়ে এসেছিল তার নীল বেদনার নির্বাক অস্রুর ফোয়ারা। তার সেই বেদনাবিদ্ধ সময়ে তাকে নগন্য সান্ত্বনার প্রচেষ্টা।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন